Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2018

আমি, আমরা ও আমাদের ইস্কুলবেলা

মনে পড়ে ? ক্লাস ৮, ৯,১০ এ ক্লাসের বাম দিকে জানালার পাশের সিটগুলো আমাদের ছিল? জানালা দিয়ে তাকালেই প্রথমে সবুজ মাঠের দিকে চোখ পড়ত।সবুজের মাঝ থেকে ছোট্ট সাদা মসজিদটা সহজেই আলাদা করা যেত। যখন মাঠে সবুজ ধান থাকত তখন আমরা মোহাবিষ্ট হয়ে ধানের ঢেউ খেলানো দেখতাম,চোখের পলকে ক্লাস শেষ হয়ে যেত।নির্জন দুপুরটাকে এর চাইতে সহজে উপভোগ করার উপায় আমাদের জানা ছিল না।ক্লান্তিকর দুপুরে কখনো বেঞ্চে মাথা এলিয়ে দিতাম,তখন দূরের মাঠ থেকে সুগন্ধমাখা বাতাস এসে মাতাল করে দিত।ক্লাসের চার দেয়ালের মাঝে বীরেন স্যার কিংবা অমল স্যারের সুমধুর কন্ঠ প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরত।কখনো বা পাশের রাস্তা থেকে দূরের যাত্রী বহনকারী দু একটি বাস চলে যেত।সামান্য হলেও নির্জনতায় ছেদ টানত।মনে পড়ে কি? বৃষ্টির দিনগুলিতে স্কুলের সামনের নালায়য় পানি জমত,আর তখন ডাকত ঘ্ঙর ঘ্যাঙর ব্যাঙ। মনে পড়ে কি সেইসব দিনের কথা? ছবির মত হারিয়ে গেছে সে শৈশব,মনে হয় হাত বাড়ালেই ছোয়া যাবে। সেরা সময়গুলো ফেলে আসলেই টের পাওয়া যায় :')

"জানালায় সোনালি রোদ্দুর : এক "

এক দীর্ঘসময় পর আমি আমার প্রিয় বিছানায় শুয়েছি।আমার প্রিয় পড়ার টেবিলে বসতে পেরেছি।আমার দীর্ঘ দিনের প্রিয় টেবিল, আমার সাথেই ছিল - আমার বড় হওয়ার সময়গুলোতে, অবুঝ বয়ঃসন্ধিকালে, হাফপ্যান্ট পড়ে হাইস্কুলে যাওয়ার বছরগুলোতে।আমার প্রিয় বিছানায় শুয়ে আমি প্রতিদিন প্রিয়দের কল্পনা করতাম; যা ঐ বয়সটাতে একেবারে স্বাভাবিক ছিল। পড়ার টেবিলে বই সাজাতাম, অনেক গুলো গল্পের বই ছিল, যা পড়ার টেবিলে রাখা বারণ ছিল। আমার একটা কালো রংয়ের ডায়রি ছিল, সেখানে আমার ব্যাক্তিগত গল্প কবিতা থাকত, আমার না বলা কথা,জানি সেটা কখনোই এনা ফ্রান্ঙের ডায়রি হয়ে উঠবে না, তবুও ওটা আমার কাছে তার চেয়েও মূল্যবান। অনেক রাত অবধি পড়াশোনার অভ্যাস ছিল। বিশেষ করে পরীক্ষা র আগমুহূর্ত গুলোতে।শেষরাতে কোনো একটা পাখির ডাক আমাকে রাতপোহাবার জানান দিত।পশ্চিমে একটা জানালা ছিল। শেষরাতে চাঁদ ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটা ওই বয়সে আমার জন্য পরম আকাঙ্খার ছিল। যে চাদে প্রিয়তমার মুখ দেখতাম,আর এর সাথেই প্রিয় হয়ে গিয়েছিল জীবনানন্দ দাশ।যে চাদের সৌন্দর্য আর নির্জনতা উপভোগ করতে শিখিয়েছিল সেই বালকবেলায়। যা আমার পুরোটা জুড়ে এখনও অধিকার করে আছে। শীতকালে যখন লেপকাথা জুড়ে পরণকথা