Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2021

"আমি কি বাঙালি" -আছি বটে এখন,তবে কতদিন থাকতে পারবো?

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পড়ার অভ্যাস টা গড়ে উঠতে পারেনি।কেবল দ্বিতীয় বই শেয়স করলাম"।আমি কি বাঙালি",প্রবন্ধগ্রন্থ, বইয়ের ফ্লপে আবার বলেই দিয়েছেন এটা আত্ম-অনুসন্ধানের গ্রন্থ।বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে আরেক গুনী বাঙালি আনিসুজ্জামান কে।তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত হয়েছেন গতবছর।  এ বইয়ে বাঙালির নানা আত্মপরিচয় আর তার সুলুকসন্ধান করেছেনে নানা প্রশ্নে।দুই বাংলার মধ্যে সব বিভেদ ঘুচিয়ে বাংলাকে ইউনাইটেড করার প্রচেষ্টাও প্রতিফলিত হয়েছে।বাঙালি প্রবাসীদের ও কিছু সচেষ্ট অবদান রয়েছে বাঙলাকে বাচিয়ে রাখার, আবার এদিকে থেকে ওপারের চেয়ে বাংলাদেশের বাঙালিরাই অধিক সক্রিয়। পশ্চিমবাংলা জুড়ে হিন্দির আগ্রাসন ও তার মাথাব্যথার বড় কারন।এখানে আমি একটু যুক্ত করতে চাই,শুধু পশ্চিমবাংলা কেনো, এখন তো বাংলাদেশের বাজার ই হিন্দিতে সয়লাব।এখানে হিন্দি কে ঘৃনা করতে বলা হয়নি।হিন্দির পাশাপাশি বাংলাও যাতে সমান মর্যাদা পায় তারই আকুল আবেদন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পূর্বপুরুষ খাটি বাংলাদেশের বাঙালি।তার নানাবিধ ছাপ ফুটে উঠেছে বেশ কয়েকটা প্রবন্ধে। বাংলাদেশি বাঙালির গুনকীর্তন ও অধিকতর লক্ষ্যনীয় এ বইয়ে।বইটি শেষ হয়েছে মজার দুটি তথ্য দিয়েঃ এক.

সাজেষ্টোপেডিয়া(Suggestopedia)

সাজেষ্টোপেডিয়া হচ্ছে জর্জি লাজানভ কতৃক প্রবর্তিত একধরনের শিখন পদ্ধতি। ১৯৭০ সালে তিনি এই পদ্ধতি প্রবর্তন করেন।অধিকাংশ সময় এটি বিদেশি ভাষা শেখার কাজে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।সাজেষ্টোপেডিয়া দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত "সাজেশান" এবং " পেডাগগি"। সাজেস্টোপেডিয়া শিখন পদ্ধতিটি তিনটি ধাপে গঠিত।এগুলো হচ্ছে:ডিসাইফরিং,কনসার্ট সেশন এবং এলাবোরেশান।ডিসাইফারিং ধাপে শিক্ষক ছাত্রদেরকে একটি ভাষার ব্যাকরন ও শব্দসমূহের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।খাতার একপাশে শব্দে অন্য পাশে ওই শব্দের অনুবাদ থাকে।কনসার্ট সেশনের দুইটি ধাপ।এক্টিভ এবং পেসিভ।এক্টিভ ধাপে শিক্ষক শব্দসমূহ পড়তে থাকে।ছাত্ররা সেটা অনুসরন করে।পেসিভ ধাপেও শিক্ষক শব্দ পড়তে থাকে এবং ব্যাতিক্রম হচ্ছে পেসিভ ধাপে বোরক সংগীত বাজতে থাকে।এরপর এলাবোরশান ধাপে যেয়ে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে এতক্ষনে কি শিখতে পারলো। যদিও সাজেস্টোপেডিয়ার নানা সাইড এফেক্ট আছে।অনেকে এটিকে প্লাসিবো ইফেক্ট এর সাথেও তুলনা করেন।তবুও এটি এখনো নতুন ভাষা শেখায় বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। 

সুনীলের জীবনানন্দ আবিষ্কার ও আমার জীবনানন্দ প্রেম!

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই খুব একটা পড়া হয়নি আমার।অনেককাল ধরে তার নাম বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের কাছে জনপ্রিয়। কেউ কথা রাখেনির মতো কবিতা হরহামেশাই শোনা যায়।জীবনানন্দের প্রতি সুগভীর ভালোবাসা থেকে ওনার "আমার জীবনানন্দ আবিষ্কার ও অন্যান্য " পড়া শুরু করলাম।গদ্য বই।বই শুধু জীবনানন্দতেই থেমে থাকেনি সমসাময়িক আরো নানা কবিকে নিয়ে বেশ সরস আলাপ রয়েছে এই বইয়ে। চিত্র: আমার জীবনানন্দ আবিষ্কার ও অন্যান্য, আনন্দ পাবলিশার্স শুরুর দিকে জীবনানন্দকে নিয়ে কয়েকটি প্রবন্ধ। সেখানে জীবনানন্দের প্রতি তার তরুণ বয়সের ঝোক ও পরিনত বয়সের ভালোবাসার কথা বর্ননা আছে।এরপর ধীরে ধীরে বুদ্ধদেব বসু,বিভূতিভূষণ ও সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার ব্যাপার এ সুন্দর বিশ্লেষণ। এছাড়াও ওনার তৎকালীন জীবনে কবিতার সাহায্যে যাদের সাথে ওনার সখ্যতা ছিলো, ওঠা বসা ছিলো তাদের প্রতি অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন।আ্যালেন গিন্সবারগের কথা সবাই জানি কমবেশি।বাংলাদেশের যুদ্ধে যিনি যুক্ত ছিলেন, লিখেছিলেন সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড নামের কালজয়ী কবিতা।এরপর সমরেশ বসু ও শক্তিতে এসে থেমেছেন।শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও আমার অন্যতম প্রিয় কবি।শক্তির ব্যাপারে বেশ কয়েকটা লেখা শেষের

বিষন্নতার দিনরাত্রি

তারপর একটি নিস্তব্ধ রাত্রি হাওয়া তুলে পালে, ভেসে যায় সব নিরবতা ভুলে, ফেলে আসে সব আয়োজন।সব স্বপনের শেষে পরিতৃপ্ত হয়ে ওঠা সোনালি আকাশ আকাশের বুক চিড়ে জেগে ওঠা রোদ রোদের মায়াবী মুখ মুখের কাফন,মনে পরে যায়  সব শিকারীর দূরন্ত সংবাদ সাহসের বিষন্ন প্রলাপ তারপর আরো কিছু দিন শোকগ্রস্ত বেশ কিছু দিন আমরা বসে থাকি,শুয়ে থাকি ভেবে নেই বেচে আছি পৃথিবীর সব জীব বেঁচে আছে বেচে থাকে যে যেমন।