Skip to main content

সুনীলের জীবনানন্দ আবিষ্কার ও আমার জীবনানন্দ প্রেম!

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই খুব একটা পড়া হয়নি আমার।অনেককাল ধরে তার নাম বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের কাছে জনপ্রিয়। কেউ কথা রাখেনির মতো কবিতা হরহামেশাই শোনা যায়।জীবনানন্দের প্রতি সুগভীর ভালোবাসা থেকে ওনার "আমার জীবনানন্দ আবিষ্কার ও অন্যান্য " পড়া শুরু করলাম।গদ্য বই।বই শুধু জীবনানন্দতেই থেমে থাকেনি সমসাময়িক আরো নানা কবিকে নিয়ে বেশ সরস আলাপ রয়েছে এই বইয়ে।





চিত্র: আমার জীবনানন্দ আবিষ্কার ও অন্যান্য, আনন্দ পাবলিশার্স




শুরুর দিকে জীবনানন্দকে নিয়ে কয়েকটি প্রবন্ধ। সেখানে জীবনানন্দের প্রতি তার তরুণ বয়সের ঝোক ও পরিনত বয়সের ভালোবাসার কথা বর্ননা আছে।এরপর ধীরে ধীরে বুদ্ধদেব বসু,বিভূতিভূষণ ও সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার ব্যাপার এ সুন্দর বিশ্লেষণ। এছাড়াও ওনার তৎকালীন জীবনে কবিতার সাহায্যে যাদের সাথে ওনার সখ্যতা ছিলো, ওঠা বসা ছিলো তাদের প্রতি অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন।আ্যালেন গিন্সবারগের কথা সবাই জানি কমবেশি।বাংলাদেশের যুদ্ধে যিনি যুক্ত ছিলেন, লিখেছিলেন সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড নামের কালজয়ী কবিতা।এরপর সমরেশ বসু ও শক্তিতে এসে থেমেছেন।শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও আমার অন্যতম প্রিয় কবি।শক্তির ব্যাপারে বেশ কয়েকটা লেখা শেষের দিকে।সবমিলিয়ে কবিতা প্রেমীদের জন্য সুপাঠ্য এই বই।কবিতার নানা দিক,বিভিন্ন বাঙালি কবিদের ব্যাপার এ জানতে অত্যন্ত সহায়ক হবে এই প্রবন্ধ ও আলোচনার বই "আমার জীবনানন্দ আবিষ্কার ও অন্যান্য "

Comments

Popular posts from this blog

দীর্ঘশ্বাস -নদীর ধারে।

আমাদের ভেতরে জেগে থাকে একটা দীর্ঘশ্বাস  হৃদয় ঘুমায়ে যায়,জেগে থাকে আমাদের মন কত দিন পরে, কোনো এক শান্ত শীত ভোরে দূর থেকে ভেসে আসে খেজুর পাতার ঘ্রাণ  রংয়ের আকাশে ভেসে মেঘ একটুকু বয়ে নেওয়া রঙিন আবেগ। আমরা ভাবতে থাকি টিনের চালের নিচে শুয়ে কত বাস ট্রাম চলে,আর কত দূর দৌড়ালে  আমাদের কাছে এসে সময় ক্ষমা চেয়ে নেবে আর কত গল্প বলে,কত সব কবিতা লেখা হলে মানুষ ভেবে নেবে সফল জীবন কত দিন, কত সন্ধ্যা পাখির ডাকের থেকে আকাশ দেখে,নিরবে নদীর পারে নদীর ঢেউয়ের সাথে কত কথা বলা হলে পরে আমাদের বন্ধু হবে,আমরা হবো বন্ধু নদী কিংবা ঘাসের  কত দিন কথা হয় ওই নীল পাখিদের সাথে।

চতুরঙ্গ : একটি চৌমুখী পর্যালোচনা!

চতুরঙ্গ উপন্যাসের মূল চরিত্র চারটি। চারটি বিশেষ কাহিনী একত্রিত করেই, একই সুতোর টানে আবর্তিত হয়েছে শ্রীবিলাসের জবানীতে। তারপরও শচীশ না শ্রীবিলাস কাকে প্রধান চরিত্র বলবো তা নিয়ে দ্বন্ধ থেকেই যায়।  জ্যাঠামশাই জগমোহন এর নাস্তিকতার আড়ালে নির্লোভ জন সেবা করা মানবধর্মের সুন্দর পরিচয় বহন করে। জগমোহন থেকে সে মহান গুন পরিচালিত হয়েছে শ্রীবিলাসের দিকে। তৎকালীন সমাজ ব্যাবস্থায় স্রোতের বিপরীতে চলা এরকম চরিত্র সৃষ্টি করা কখনোই সহজ কাজ ছিলো না।নারীজীবননের নানা দ্বন্দ্ব সংঘাত সুচারুরূপে উঠে এসেছে দামিনীর মধ্যে। দামিনীর ভালোবাসা শচীশ আর শ্রীবিলাসের জীবনে নিয়ে এসেছে শীতলতা।যদিও ভালোবাসার স্রোত সর্বদাই শচীশের দিকেই প্রবাহিত হয়েছে। এমনকি শ্রীবিলাসের সাথে বিবাহের পরও সে শচীশের প্রতি নিবেদিতপ্রান। শচীশের জীবিকার চিন্তাও সেই করেছে।কিন্তু মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্তে শেষ আকুতিটুকু শ্রীবিলাসের  প্রতিই ছিলো "সাধ মিটিল না, জন্মান্তরে আবার যেন তোমাকে পাই "। দামিনী শক্তভাবে অবহেলা করে গেছে লীলানন্দস্বামীর ধর্ম, কর্ম, প্রেম আর আধ্যাত্মিকতা।  চারটি চরিত্রকে আলাদাভাবে বর্ননা করেও, তাদের স্বকীয়তা ধরে রেখেছেন সমানভা

জাহাজের পটভূমিতে

সকালের কোলাহল শুরু হতে, শুরুর সূর্যের আলো যেইমাত্র জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তখন আর কে এলিয়ে থাকে গা বিছানার পরে? অতএব, চমৎকার একটা দিনের শুরু শুরু আরো কিছুকাল উদ্দেশ্যেহীন বেচে থাকা কি করে কাটবে এই নিরাশ সময়,সব এলোমেলো ভেবে। ঘর থেকে বের হয়ে একটি পাখিকে ডেকে যেতে দেখি শুধু গাছের আড়ালে তারপর দিন বেড়ে যায়,মানুষের সব  ক্ষুধা গ্রাস করে মৃত অন্ধকার  দুপুরের নিরবতা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন সাগরতীরে ভিড়ে যায় পুরোনো জাহাজ নাবিকেরা নেমে পরে বন্দরের কাছে তাদের ও আছে প্রয়োজন আরো কিছুকাল বেচে উপভোগ করা এই সময়ের স্মৃতি  কত দিন কত রাত পরে,ভিড়ে তারা বন্দরের কাছে। বিকেলের আলোতে বসে চায়ের দোকানে সব কথা ভেবে যায় একটি যুবকে সব অন্ধকার কখন নামবে এই পৃথিবীর বুকে, কখন ফিরবে সব পাখিরা নীড়ে,  কখন উঠবে সব তারাদের দল, অন্ধকার ফুড়ে সব শান্ত চারিদিকে, সব কোলাহল শেষে কখন ফিরবে সব ক্লান্ত দেহ বিছানার পরে।