Skip to main content

প্রথম আমেরিকা ভ্রমনের গল্প : প্রস্তুতি পর্ব

প্রস্ততি পর্ব


এরকম যে একটা সুযোগ যে হবে এ কথা কে আর ভেবেছিলো? এ যেন স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে যাওয়া এক অলৌকিক মূহুর্ত। সেই অসাধারণ সব মূহুর্তের গল্প নিয়ে লিখবো প্রথম আমেরিকায় পা দেয়ার গল্প।

আমেরিকায় পা দেয়ার স্বপ্নের বুনন চলছিলো দীর্ঘদিন ধরেই।অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবের কাছাকাছি আসলো। ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারীর ৯ তারিখে গিয়েছিলাম University of Nebraska Lincoln এ PhD recruitment event এ যোগ দিতে। PhD প্রোগ্রামের নাম ছিলো Complex Biosystems। প্রোগ্রামের এপ্লিকেশন ডেডলাইন ছিলো ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩।  এপ্লিকেশন সাবমিট করেছি বেশ কয়েকদিন আগেই। ২৩ ডিসেম্বর ইন্টারভিউ মেইল দিলো UNL থেকে।ক্রিসমাসের ছুটি পড়ে যাওয়ায় ইন্টারভিউ নিলো ৪ জানুয়ারি। খুবই Impressive একটা ইন্টারভিউ দিয়েছি।আমার কাছে মনে ইন্টারভিউ PhD application  এর খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।ভালো ইন্টারভিউ দিলে চান্স অনেকটাই বেড়ে যায়।অনেক competitive জায়গায় interview দিয়েও অনেকে বাদ পরে যায়। যাই হোক, জানুয়ারীর ১০ তারিখে জানালো আমি in person recruitment event এর জন্য আমন্ত্রিত হয়েছি। সেদিন থেকেই আমার উৎসাহের আর কমতি নেই।


কিন্তু তখনও সবচেয়ে কঠিন হার্ডলটা পার করা বাকি।আর সেটা হচ্ছে  US Visa।  ওরা আমাকে পথও বাতলে দিলো।একটা invitation letter পাঠালো ওরা জানুয়ারির ১২ তারিখ।আমি আর দেরি করলাম না।জানুয়ারির ১৫ তারিখই DS160 FILL UP করে ভিসা ফি পে করে দিলাম।এরপর চোখ রাখতে লাগলাম visa interview ডেট এর দিকে।প্রথম ডেট পেলাম সেপ্টেম্বর এ।সৌভাগ্যক্রমে সেদিনই ইমার্জেন্সি রিকোয়েস্ট করার সুযোগ হলো।সেদিন বৃহস্পতিবার থাকায় আমাকে ইমার্জেন্সির রেজাল্ট জানালো আরো ২ দিন পরে রবিবার এ।আমার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট হয়েছে।পরদিন সোমবার সকাল ১০ টায় ইন্টারভিউ টাইম নিয়ে নিলাম। সকাল সকাল চলে গেলাম এম্বাসি তে। সত্যি কথা বলতে একটু ভয়েই ছিলাম কারন B1 ভিসা রিজেকশন রেশিও অনেক বেশি।দুরুদুরু বুকে ভিসা ইন্টারভিউ দিলাম, কিন্তু তেমন কিছুই জিজ্ঞেস করেনাই।জাস্ট রিসার্চ ইন্টারেস্ট নিয়ে জিজ্ঞেস করলো।এরপর বললো আপনার পাসপোর্ট আমরা রেখে দিচ্ছি, কয়েকদিন পর ভিসা সহ পাসপোর্ট কালেক্ট করবেন।আমি তাড়াতাড়ি এসে এই খুশির খবরটা UNL এ জানালাম।এরাও রিপ্লাই দিচ্ছিলো না দুইদিন ধরে।পরে রিপ্লাই দিলো আরেকটা মেইল এ।এরপর এরা সবকিছু গোছায় টিকেট পাঠালো ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ।রিক্রুটমেন্ট ইভেন্ট ছিলো ফেব্রুয়ারীর ৯ তারিখ।অবশেষে স্বপ্নটা একটু একটু করে সফল হতে শুরু করলো।

            টিকেটের ছবি

[চলবে]

Comments

Popular posts from this blog

প্রথম আমেরিকা ভ্রমনের গল্প : যাত্রা পর্ব

যাত্রা পর্ব এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি।ফেব্রুয়ারীর ৬ তারিখ রাত ৮ টায় ফ্লাইট ছিলো।টিকেট পাওয়ার পর থেকেই টুকটাক কেনাকাটা শুরু করছিলাম।নিজে যেয়ে বংগবাজার থেকে শীতের জ্যাকেট কিনলাম।মাইনাসের জন্য। নিউমার্কেট থেকে ছোট লাগেজ কিনেছি একটা।ফ্লাইটের দিন সকালে মার পাঠানো টাকা দিয়ে একজোড়া জুতা আর একটা নেক পিলো কিনলাম।ফ্লাইট ছিলো রাত ৮:১৫ তে।কাতার এয়ারওয়েজ এ।দুপুরের পরই হল থেকে রওনা হয়ে গেলাম।এয়ারপোর্টে পৌছলাম বিকেল ৪ টার দিকে।এয়ারপোর্টে প্রবেশের পর প্রথম কাজ হলো যেই এয়ারলাইনস এর টিকেট কাটসি ওই এয়ারলাইনস এর বুথ খুজে বের করা।এরপর এদের লাগেজ দিয়ে দেয়া।ওরা লাগেজের ওজন মেপে বারকোড লাগিয়ে দেয়। আর সাথে বোর্ডিং পাসও দেয়।বোর্ডিং পাস পাওয়ার পর ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশন এর পর প্লেন যেই গেট থেকে ছাড়বে ওই গেটে যেতে হয়।যাওয়ার পথে চেকিং আছে।জুতা সহ বেল্ট সব কিছু ই খুলে ফেলতে হয়।       চিত্র:  ঢাকা এয়ারপোর্টে প্লেন বোর্ডিং এর আগে। সবকিছু ঠিকভাবে হওয়ার পর প্লেন এ উঠে বসলাম।প্রথম জার্নি ছিলো ঢাকা টু দোহা।দোহায় প্রথম transit.। সৌভাগ্যক্রমে জীবনের প্রথম ফ্লাই এ একটা উইন্ডো সিট পেয়ে গেলাম।ঢাক...

ধূসর সাদা বৃষ্টি

আজ সকালটা জুড়ে প্রচন্ড বৃষ্টি  একটা সজীব গন্ধ বাতাসে একটা জীবন ক্ষয়ে যায়, একটা না  বলা কথা রয়ে যায় বুকের গভীরে যেমন থাকে দীর্ঘদিন না দেখে থাকা প্রেমিকের সুর। সকালটা জুড়েই বৃষ্টি  এরকম অসাধারণ এক সকালে  বাইরে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখা জীবনের হিসেব কষা সময়ের ফাক গলে  কোথা থেকে কত বছর চলে গেল, কখন বাস্তবতা এসে সামনে দাড়ালো,   সেসব হিসেবের সময় না। কবিতা লেখার সময় কি? হতেও পারে, কত স্বপ্নই তো কবিতা হয়ে যায় কবিতারা পিছু ছাড়ে না  বৃষ্টি দিনে আরো বেশি জেকে বসে মাথার ভেতরে।  এসব কবিতা লিখতে লিখতেই একদিন কবিরা টের পেয়ে যায় ফুরিয়ে এসেছে জীবনের সময়। ------------------------------------------- নিয়ামতি বন্দর, বরিশাল। ২৯ জুন, ২০২৪.