যাত্রা পর্ব
এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি।ফেব্রুয়ারীর ৬ তারিখ রাত ৮ টায় ফ্লাইট ছিলো।টিকেট পাওয়ার পর থেকেই টুকটাক কেনাকাটা শুরু করছিলাম।নিজে যেয়ে বংগবাজার থেকে শীতের জ্যাকেট কিনলাম।মাইনাসের জন্য। নিউমার্কেট থেকে ছোট লাগেজ কিনেছি একটা।ফ্লাইটের দিন সকালে মার পাঠানো টাকা দিয়ে একজোড়া জুতা আর একটা নেক পিলো কিনলাম।ফ্লাইট ছিলো রাত ৮:১৫ তে।কাতার এয়ারওয়েজ এ।দুপুরের পরই হল থেকে রওনা হয়ে গেলাম।এয়ারপোর্টে পৌছলাম বিকেল ৪ টার দিকে।এয়ারপোর্টে প্রবেশের পর প্রথম কাজ হলো যেই এয়ারলাইনস এর টিকেট কাটসি ওই এয়ারলাইনস এর বুথ খুজে বের করা।এরপর এদের লাগেজ দিয়ে দেয়া।ওরা লাগেজের ওজন মেপে বারকোড লাগিয়ে দেয়। আর সাথে বোর্ডিং পাসও দেয়।বোর্ডিং পাস পাওয়ার পর ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশন এর পর প্লেন যেই গেট থেকে ছাড়বে ওই গেটে যেতে হয়।যাওয়ার পথে চেকিং আছে।জুতা সহ বেল্ট সব কিছু ই খুলে ফেলতে হয়।
চিত্র: ঢাকা এয়ারপোর্টে প্লেন বোর্ডিং এর আগে।সবকিছু ঠিকভাবে হওয়ার পর প্লেন এ উঠে বসলাম।প্রথম জার্নি ছিলো ঢাকা টু দোহা।দোহায় প্রথম transit.। সৌভাগ্যক্রমে জীবনের প্রথম ফ্লাই এ একটা উইন্ডো সিট পেয়ে গেলাম।ঢাকা টু দোহার অধিকাংশ যাত্রীই ছিলো বাংলাদেশী।প্রথমবার প্লেনে উঠায় প্লেনের সবকিছু চেকআইট করতেসিলাম।একটা হেডফোন, বালিশ আর কম্বল দিয়েছিলো।খাবারও অস্থির ছিলো।
চিত্র: প্লেনে দেয়া খাবারকাতারের সার্ভিস বেশ ডিসেন্ট মনে হইসে।৬ ঘন্টা জার্নির পর দোহায় এসে নামলাম।হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। বিশাল বড় এয়ারপোর্ট। প্লেন থামার পর ওখান থেকে একটা ছোট্ট বাসে মূল বিমানবন্দরে নিয়ে আসলো।দোহা এয়ারপোর্টে এসে মনে হলো পৃথিবীটা এত বড়।এত দেশের এত মানুষ। ট্রানজিট বেশিক্ষণের ছিলো না।পরের গেটের সন্ধান করতে করতেই অনেকটা সময় কেটে গেলো।পরবর্তী জার্নি দোহা টু ডালাস ফোর্ট ওর্থ।বেশ লম্বা জার্নি।সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ ঘন্টা।এতক্ষন প্লেনে বসে থাকতে হবে ভেবেই খারাপ লাগতেসিলো।যদিও প্লেনের ভেতর পর্যাপ্ত খাবার আর বিনোদন এর সব ব্যাবস্থাই ছিলো তবুও ক্লান্ত আর একঘেয়ে লাগতেসিলো। অবাক হয়ে খেয়াল করলাম প্লেন সোজা না যেয়ে একটু ইউরোপের দিকে বাক নিয়ে, কানাডা হয়ে আমেরিকা প্রবেশ করলো।এরকম করে অবশেষে পৌছে গেলাম স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়।পা রাখলাম ডালাসের ফোর্ট ওর্থ বিমানবন্দরে।
চিত্র : ডালাসের ফোর্ট ওর্থ বিমানবন্দরডালাসে নামার পর কাজ হচ্ছে immigration মানে US Customs and Boarder Protection পার হওয়া।এখানে কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হলো।পরে একজন অফিসার ডেকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন করলো।সবকিছু ঠিক দেখে বললো তুমি যাও।পরে উনি লাগেজ কালেকশান এর রাস্তা দেখায় দিলো।লাগেজ আবার নেক্সট ফ্লাইট এর জন্য দিতে হলো।পরবর্তী গন্তব্য ডালাস টু ওমাহা।ঘন্টাদুয়েক লাগলো এমেরিকান এয়ারলাইনস এ।এখান থেকে রিসিভ করলেন রাসেল ভাই।ওনার গাড়িতে ওমাহা টু লিংকন।একঘন্টা মতো লাগলো।এভাবে যাত্রা সমাপ্ত হলো।
[চলবে]
Comments
Post a Comment