সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পড়ার অভ্যাস টা গড়ে উঠতে পারেনি।কেবল দ্বিতীয় বই শেয়স করলাম"।আমি কি বাঙালি",প্রবন্ধগ্রন্থ, বইয়ের ফ্লপে আবার বলেই দিয়েছেন এটা আত্ম-অনুসন্ধানের গ্রন্থ।বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে আরেক গুনী বাঙালি আনিসুজ্জামান কে।তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত হয়েছেন গতবছর।
এ বইয়ে বাঙালির নানা আত্মপরিচয় আর তার সুলুকসন্ধান করেছেনে নানা প্রশ্নে।দুই বাংলার মধ্যে সব বিভেদ ঘুচিয়ে বাংলাকে ইউনাইটেড করার প্রচেষ্টাও প্রতিফলিত হয়েছে।বাঙালি প্রবাসীদের ও কিছু সচেষ্ট অবদান রয়েছে বাঙলাকে বাচিয়ে রাখার, আবার এদিকে থেকে ওপারের চেয়ে বাংলাদেশের বাঙালিরাই অধিক সক্রিয়। পশ্চিমবাংলা জুড়ে হিন্দির আগ্রাসন ও তার মাথাব্যথার বড় কারন।এখানে আমি একটু যুক্ত করতে চাই,শুধু পশ্চিমবাংলা কেনো, এখন তো বাংলাদেশের বাজার ই হিন্দিতে সয়লাব।এখানে হিন্দি কে ঘৃনা করতে বলা হয়নি।হিন্দির পাশাপাশি বাংলাও যাতে সমান মর্যাদা পায় তারই আকুল আবেদন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পূর্বপুরুষ খাটি বাংলাদেশের বাঙালি।তার নানাবিধ ছাপ ফুটে উঠেছে বেশ কয়েকটা প্রবন্ধে। বাংলাদেশি বাঙালির গুনকীর্তন ও অধিকতর লক্ষ্যনীয় এ বইয়ে।বইটি শেষ হয়েছে মজার দুটি তথ্য দিয়েঃ
এক.একজন জাপানিজ শ্রীনাওকি নিশিওকা, যিনি জাপানি ভাষার একজন সুখ্যাত লেখক ও গবেষক, তিনি শান্তিনিকেতন এ যাওয়া আসার সূত্রেই শিখে ফেলেছেন সাবলীল বাংলা।সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার, তিনি একটি বই পর্যন্ত লিখে ফেলেছেন বাংলায়, নামঃঅরণ্যের রাজবাড়ি।
দুই.ফাদার দ্যতিয়েনের ডাইরিও বাংলায় ই লেখা।এই বই আমি ডাউনলোড করসি বেশ কয়বছর আগে।তখন জানতাম না এই বই বাংলায় ই লেখা হয়েছিলো।নিজের বাঙালিআনাকে আরেককাঠি ঝালিয়ে নিতে পড়ে ফেলুন এই চমৎকার বইটি।
Comments
Post a Comment