Skip to main content

একটুখানি ফ্রয়েড

ফ্রয়েডের Beyond the Pleasure Principle নামে প্রবন্ধটি বিশ্বের সর্বত্র তার দার্শনিক রচনা  হিসেবে চিন্হিত  এই প্্রবন্ধেই  তার   বহু আলোচিত মর্তুকাম   বা 'death wish' তত্্বটি ঘোষিত হয়েছে।
 ফ্রয়েডের মূল সূত্রগুলি সংক্ষেপে:
  •   সুখানুভূতি বা Pleasure Principle মানুষের জীবনে এক প্রধান তাড়না ; আমরা এমন কাজ করি বা করতে পছন্দ করি সেগুলো সবই সুখানুভূতির  তাড়নায় ভালো বেতনের চাকরি করা, মনের মত বাসস্থান, ও গাড়ি কেনা, দামী রেস্তোরাঁয়  ডিনার করতে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। 
  • কিন্ত সর্বপ্রকারের সুখানুভূতিকে সফল করা সম্ভব নয়।স্রেফ মজার জন্য ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ভুল দিকে গাড়ি -ড্রাইভ করা একেবারেই অনুমোদিত নয়। কারন যে-সমাজে আমরা বাস করি তার কতকগুলো নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ আছে। এই সামাজিক ব্যবস্থাকে ফ্রয়েড বলেছেন reality principle. 
  • মানুষ ও প্রাণীমাত্রই আপ্রান চেষ্টা করে বেঁচে থাকার ;এটা তাদের অন্যতম সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী প্রবৃত্তি বা instinct এবং আর একটি শক্তিশালী প্রবৃত্তি ও সুখানুভূতি  যৌনক্রিয়া যার মৌল উদ্দেশ্য  তাদের নিজেদের প্রজাতি (species)  কে বাচিয়ে রাখা। 


সকলেই জানেন যে সঙ্গমের শেষে ইতিহর্ষ বা orgasm -এর অব্যবহিত  পরে, যে কোনো প্রাণী -শুধু মানুষ নয়, কয়েক মুহূর্তের জন্য  নিশ্চল   হয়ে যায় ;তার সূত্র  ধরে  ফ্রয়েড  বলেছেন  যে কামনা  (Eros)  এবং মৃত্য (Thanatos) পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। 


[]-উ্ত্তর -আধুনিক চিন্তা ও কয়েকজন ফরাসি ভাবুক (অমল বন্দোপাধ্যয়)

Comments

Popular posts from this blog

প্রথম আমেরিকা ভ্রমনের গল্প : যাত্রা পর্ব

যাত্রা পর্ব এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি।ফেব্রুয়ারীর ৬ তারিখ রাত ৮ টায় ফ্লাইট ছিলো।টিকেট পাওয়ার পর থেকেই টুকটাক কেনাকাটা শুরু করছিলাম।নিজে যেয়ে বংগবাজার থেকে শীতের জ্যাকেট কিনলাম।মাইনাসের জন্য। নিউমার্কেট থেকে ছোট লাগেজ কিনেছি একটা।ফ্লাইটের দিন সকালে মার পাঠানো টাকা দিয়ে একজোড়া জুতা আর একটা নেক পিলো কিনলাম।ফ্লাইট ছিলো রাত ৮:১৫ তে।কাতার এয়ারওয়েজ এ।দুপুরের পরই হল থেকে রওনা হয়ে গেলাম।এয়ারপোর্টে পৌছলাম বিকেল ৪ টার দিকে।এয়ারপোর্টে প্রবেশের পর প্রথম কাজ হলো যেই এয়ারলাইনস এর টিকেট কাটসি ওই এয়ারলাইনস এর বুথ খুজে বের করা।এরপর এদের লাগেজ দিয়ে দেয়া।ওরা লাগেজের ওজন মেপে বারকোড লাগিয়ে দেয়। আর সাথে বোর্ডিং পাসও দেয়।বোর্ডিং পাস পাওয়ার পর ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশন এর পর প্লেন যেই গেট থেকে ছাড়বে ওই গেটে যেতে হয়।যাওয়ার পথে চেকিং আছে।জুতা সহ বেল্ট সব কিছু ই খুলে ফেলতে হয়।       চিত্র:  ঢাকা এয়ারপোর্টে প্লেন বোর্ডিং এর আগে। সবকিছু ঠিকভাবে হওয়ার পর প্লেন এ উঠে বসলাম।প্রথম জার্নি ছিলো ঢাকা টু দোহা।দোহায় প্রথম transit.। সৌভাগ্যক্রমে জীবনের প্রথম ফ্লাই এ একটা উইন্ডো সিট পেয়ে গেলাম।ঢাক...

প্রথম আমেরিকা ভ্রমনের গল্প : প্রস্তুতি পর্ব

প্রস্ততি পর্ব এরকম যে একটা সুযোগ যে হবে এ কথা কে আর ভেবেছিলো? এ যেন স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে যাওয়া এক অলৌকিক মূহুর্ত। সেই অসাধারণ সব মূহুর্তের গল্প নিয়ে লিখবো প্রথম আমেরিকায় পা দেয়ার গল্প। আমেরিকায় পা দেয়ার স্বপ্নের বুনন চলছিলো দীর্ঘদিন ধরেই।অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবের কাছাকাছি আসলো। ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারীর ৯ তারিখে গিয়েছিলাম University of Nebraska Lincoln এ PhD recruitment event এ যোগ দিতে। PhD প্রোগ্রামের নাম ছিলো Complex Biosystems। প্রোগ্রামের এপ্লিকেশন ডেডলাইন ছিলো ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩।  এপ্লিকেশন সাবমিট করেছি বেশ কয়েকদিন আগেই। ২৩ ডিসেম্বর ইন্টারভিউ মেইল দিলো UNL থেকে।ক্রিসমাসের ছুটি পড়ে যাওয়ায় ইন্টারভিউ নিলো ৪ জানুয়ারি। খুবই Impressive একটা ইন্টারভিউ দিয়েছি।আমার কাছে মনে ইন্টারভিউ PhD application  এর খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।ভালো ইন্টারভিউ দিলে চান্স অনেকটাই বেড়ে যায়।অনেক competitive জায়গায় interview দিয়েও অনেকে বাদ পরে যায়। যাই হোক, জানুয়ারীর ১০ তারিখে জানালো আমি in person recruitment event এর জন্য আমন্ত্রিত হয়েছি। সেদিন থেকেই আমার উৎসাহের আর কমতি নেই। কিন্তু তখনও ...

সমরেশের : আট কুঠুরি নয় দরজা

সমরেশ মজুমদারের বইপড়া হয়না অনেকদিন।কালবেলা পড়েছিলাম বহু বছর আগে,তখন সমরেশকে চিনতামও না ভালোভাবে।অনেক বছর পর আবার সমরেশ পড়া হলো।তাছাড়া পিএইচডিতে এসে পড়ার সময় মেলানো কঠিন।গতমাসে বই পড়ার উদ্দেশ্যে কিন্ডল কিনলাম।এবার অনেকটা জেনে,বুঝে সমরেশ দিয়ে কিন্ডলে পড়া শুরু করলাম।উপন্যাসের নাম আট কুঠুরি নয় দরজা।পলিটিকাল থ্রিলার বলে নাম দিয়েছে এইবইয়ের জনরার।থ্রিলার ও পড়েছি কত, খুব বেশি পড়া হয়নি।তবে এইবইয়ের বেশ কয়টা চ্যাপ্টার পরতে যেয়ে শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা হয়েছিলো।আকাশলালের চরিত্রের রহস্য উদঘাটনে অনেক দুপুর কেটে গেছে এই বইয়ের সাথে।ডাক্তারদের এই গন্ডগোলের শহরে আসা,বাঘের সাথে লড়াই।প্রথমে তো ভেবেই নিয়েছিলাম বাঘের রহস্য উপন্যাস এটা।তবে আস্তে আস্তে সব জট খুলতে থাকে।ম্যাডাম চরিত্র এখনও রহস্য আমার কাছে।যাই হোক অনেকদিন পর চমৎকার একটা বই পড়লাম এটাই সার্থকতা।