Skip to main content

কোভিড -১৯ : মিথ বনাম বাস্তবতা

সারা বিশ্ব এক দুর্যোগের মধ্যে পতিত হয়েছে, আর এই দুর্যোগের নাম করোনাভাইরাস। চলমান এই পরিস্থথিতিতে COVID-19 নিয়ে চারিদিকে নানা তথ্যের ছড়াছ। তাই এতসব তথ্যের ভিড়ে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা সেটা জানা অত্যাবশক।  

COVID-19 রোধে ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হয়েছে   
    -ভুল। 
এখনও পর্যন্ত COVID-19 সারিয়ে তোলার কোনো ভ্যাক্সিন পাওয়া   যায়নি। বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্ত মানবদেহের উপযোগী ও কার্যকারী একটি ভ্যাক্সিন তৈরি করতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যাবে। 

করোনাভাইরাস মানুষ কতৃক তৈরি করা হয়েছে বা ছেড়ে দেয়া হয়েছে 
  -ভুল।         

ভাইরাস সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। মাঝেমধ্যে যখন একটি ভাইরাস কোনো প্রাণিদেহ থেকে যেমন: শুকর, বাদুর বা পাখি থেকে পরিবর্তিত হয়ে   মানবদেহে ছড়িয়ে পরে তখন এটা মানবদেহে রোগ সৃষ্টিকরে। আর এভাবেই করোনাভাইরাসও মানবদেহ ছড়িয় পরেছে।

  ★বিদেশ থেকে পরিবহন করা কোনো দ্রব্যসামগ্রীর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। 
   -ভুল। 

বিজ্ঞানীরা এখনও ভাইরাসটি কিভাবে ছড়ায়, কিভাবে মানুষকে অসুস্থ করে তোলে সে ব্যাপারে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেে। এই আর্টিকেল লেখা পর্যন্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কোনোপ্রকার পণ্যসামগ্রী পরিবহনের দ্বারা COVID -19 ছড়িয়ে পরার  হার সীমিত।কারন, যেহেতু বিদেশ থেকে কোনো পন্যপরিবহন করতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায় এবং সময়কালে পণ্যসামগ্রীকে নানা ধরনের তাপমাত্রা ও পরিবেশের সম্মুখীন  হতে হয়! 

সোর্স :COVID -19 SOURCE  

                   

Comments

Popular posts from this blog

দীর্ঘশ্বাস -নদীর ধারে।

আমাদের ভেতরে জেগে থাকে একটা দীর্ঘশ্বাস  হৃদয় ঘুমায়ে যায়,জেগে থাকে আমাদের মন কত দিন পরে, কোনো এক শান্ত শীত ভোরে দূর থেকে ভেসে আসে খেজুর পাতার ঘ্রাণ  রংয়ের আকাশে ভেসে মেঘ একটুকু বয়ে নেওয়া রঙিন আবেগ। আমরা ভাবতে থাকি টিনের চালের নিচে শুয়ে কত বাস ট্রাম চলে,আর কত দূর দৌড়ালে  আমাদের কাছে এসে সময় ক্ষমা চেয়ে নেবে আর কত গল্প বলে,কত সব কবিতা লেখা হলে মানুষ ভেবে নেবে সফল জীবন কত দিন, কত সন্ধ্যা পাখির ডাকের থেকে আকাশ দেখে,নিরবে নদীর পারে নদীর ঢেউয়ের সাথে কত কথা বলা হলে পরে আমাদের বন্ধু হবে,আমরা হবো বন্ধু নদী কিংবা ঘাসের  কত দিন কথা হয় ওই নীল পাখিদের সাথে।

চতুরঙ্গ : একটি চৌমুখী পর্যালোচনা!

চতুরঙ্গ উপন্যাসের মূল চরিত্র চারটি। চারটি বিশেষ কাহিনী একত্রিত করেই, একই সুতোর টানে আবর্তিত হয়েছে শ্রীবিলাসের জবানীতে। তারপরও শচীশ না শ্রীবিলাস কাকে প্রধান চরিত্র বলবো তা নিয়ে দ্বন্ধ থেকেই যায়।  জ্যাঠামশাই জগমোহন এর নাস্তিকতার আড়ালে নির্লোভ জন সেবা করা মানবধর্মের সুন্দর পরিচয় বহন করে। জগমোহন থেকে সে মহান গুন পরিচালিত হয়েছে শ্রীবিলাসের দিকে। তৎকালীন সমাজ ব্যাবস্থায় স্রোতের বিপরীতে চলা এরকম চরিত্র সৃষ্টি করা কখনোই সহজ কাজ ছিলো না।নারীজীবননের নানা দ্বন্দ্ব সংঘাত সুচারুরূপে উঠে এসেছে দামিনীর মধ্যে। দামিনীর ভালোবাসা শচীশ আর শ্রীবিলাসের জীবনে নিয়ে এসেছে শীতলতা।যদিও ভালোবাসার স্রোত সর্বদাই শচীশের দিকেই প্রবাহিত হয়েছে। এমনকি শ্রীবিলাসের সাথে বিবাহের পরও সে শচীশের প্রতি নিবেদিতপ্রান। শচীশের জীবিকার চিন্তাও সেই করেছে।কিন্তু মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্তে শেষ আকুতিটুকু শ্রীবিলাসের  প্রতিই ছিলো "সাধ মিটিল না, জন্মান্তরে আবার যেন তোমাকে পাই "। দামিনী শক্তভাবে অবহেলা করে গেছে লীলানন্দস্বামীর ধর্ম, কর্ম, প্রেম আর আধ্যাত্মিকতা।  চারটি চরিত্রকে আলাদাভাবে বর্ননা করেও, তাদের স্বকীয়তা ধরে রেখেছেন সমানভা

জাহাজের পটভূমিতে

সকালের কোলাহল শুরু হতে, শুরুর সূর্যের আলো যেইমাত্র জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তখন আর কে এলিয়ে থাকে গা বিছানার পরে? অতএব, চমৎকার একটা দিনের শুরু শুরু আরো কিছুকাল উদ্দেশ্যেহীন বেচে থাকা কি করে কাটবে এই নিরাশ সময়,সব এলোমেলো ভেবে। ঘর থেকে বের হয়ে একটি পাখিকে ডেকে যেতে দেখি শুধু গাছের আড়ালে তারপর দিন বেড়ে যায়,মানুষের সব  ক্ষুধা গ্রাস করে মৃত অন্ধকার  দুপুরের নিরবতা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন সাগরতীরে ভিড়ে যায় পুরোনো জাহাজ নাবিকেরা নেমে পরে বন্দরের কাছে তাদের ও আছে প্রয়োজন আরো কিছুকাল বেচে উপভোগ করা এই সময়ের স্মৃতি  কত দিন কত রাত পরে,ভিড়ে তারা বন্দরের কাছে। বিকেলের আলোতে বসে চায়ের দোকানে সব কথা ভেবে যায় একটি যুবকে সব অন্ধকার কখন নামবে এই পৃথিবীর বুকে, কখন ফিরবে সব পাখিরা নীড়ে,  কখন উঠবে সব তারাদের দল, অন্ধকার ফুড়ে সব শান্ত চারিদিকে, সব কোলাহল শেষে কখন ফিরবে সব ক্লান্ত দেহ বিছানার পরে।