Skip to main content

থাইলাসিন ( Thylacine) : তাসমানিয়ার বিলুপ্ত প্রাণী


থাইলাসিন (Thylacine), যার আরেক নাম তাসমানিয়ান টাইগার।এরা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মাংসাশী মারসুপিয়াল।বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই প্রাণীটির উদ্ভব ঘটেছিলো ৪ মিলিয়ন বছর আগে।একদম সবশেষ জীবিত প্রাণীটির সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৩৬ সালে।

থাইলাসিনদের দেখে নেকড়ে, শেয়াল ও বড় বিড়ালের সংমিশ্রণ বলে মনে হয়।হলদে বাদামী রংয়ের পশম ও শক্তিশালী চোয়াল রয়েছে এদের।প্রকৃতপক্ষে, সর্বশেষ জীবিত থাইলাসিন টি Hobarts Beaumares Zoo তে ছিলো।ওটার নাম ছিলো বেনজামিন। কিন্ত দুঃখজনকভাবে ১৯৩৬ এর আগস্টে কোনো এক শীতের রাতে পরিচারক থাইলাসিনটিকে তার আবাসস্থলে ফিরিয়ে আনতে ভুলে যান।এরপর এটিকে মৃত পাওয়া যায়।

এরপরও অসংখ্য মানুষ জীবিত থাইলাসিন দেখেছেন বলে দাবি করেছেন।তবে সেসবের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।ইউরোপিয়ান কলোনিয়াল যুগে তাসমানিয়াতে বহু সংখ্যক থাইলাসিন কে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিলো। কিন্তু এখনো তাসমানিয় সংস্কৃতিতে থাইলাসিন একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে।২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম এর বিজ্ঞানীরা থাইলাসিন DNA কে রেপ্লিকেট করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে ক্লোনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাইলাসিনদের ফিরিয়ে আনার সম্ভাব্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।Thylacine

Comments

Popular posts from this blog

সমরেশের : আট কুঠুরি নয় দরজা

সমরেশ মজুমদারের বইপড়া হয়না অনেকদিন।কালবেলা পড়েছিলাম বহু বছর আগে,তখন সমরেশকে চিনতামও না ভালোভাবে।অনেক বছর পর আবার সমরেশ পড়া হলো।তাছাড়া পিএইচডিতে এসে পড়ার সময় মেলানো কঠিন।গতমাসে বই পড়ার উদ্দেশ্যে কিন্ডল কিনলাম।এবার অনেকটা জেনে,বুঝে সমরেশ দিয়ে কিন্ডলে পড়া শুরু করলাম।উপন্যাসের নাম আট কুঠুরি নয় দরজা।পলিটিকাল থ্রিলার বলে নাম দিয়েছে এইবইয়ের জনরার।থ্রিলার ও পড়েছি কত, খুব বেশি পড়া হয়নি।তবে এইবইয়ের বেশ কয়টা চ্যাপ্টার পরতে যেয়ে শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা হয়েছিলো।আকাশলালের চরিত্রের রহস্য উদঘাটনে অনেক দুপুর কেটে গেছে এই বইয়ের সাথে।ডাক্তারদের এই গন্ডগোলের শহরে আসা,বাঘের সাথে লড়াই।প্রথমে তো ভেবেই নিয়েছিলাম বাঘের রহস্য উপন্যাস এটা।তবে আস্তে আস্তে সব জট খুলতে থাকে।ম্যাডাম চরিত্র এখনও রহস্য আমার কাছে।যাই হোক অনেকদিন পর চমৎকার একটা বই পড়লাম এটাই সার্থকতা।

প্রথম আমেরিকা ভ্রমনের গল্প : যাত্রা পর্ব

যাত্রা পর্ব এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়া বাকি।ফেব্রুয়ারীর ৬ তারিখ রাত ৮ টায় ফ্লাইট ছিলো।টিকেট পাওয়ার পর থেকেই টুকটাক কেনাকাটা শুরু করছিলাম।নিজে যেয়ে বংগবাজার থেকে শীতের জ্যাকেট কিনলাম।মাইনাসের জন্য। নিউমার্কেট থেকে ছোট লাগেজ কিনেছি একটা।ফ্লাইটের দিন সকালে মার পাঠানো টাকা দিয়ে একজোড়া জুতা আর একটা নেক পিলো কিনলাম।ফ্লাইট ছিলো রাত ৮:১৫ তে।কাতার এয়ারওয়েজ এ।দুপুরের পরই হল থেকে রওনা হয়ে গেলাম।এয়ারপোর্টে পৌছলাম বিকেল ৪ টার দিকে।এয়ারপোর্টে প্রবেশের পর প্রথম কাজ হলো যেই এয়ারলাইনস এর টিকেট কাটসি ওই এয়ারলাইনস এর বুথ খুজে বের করা।এরপর এদের লাগেজ দিয়ে দেয়া।ওরা লাগেজের ওজন মেপে বারকোড লাগিয়ে দেয়। আর সাথে বোর্ডিং পাসও দেয়।বোর্ডিং পাস পাওয়ার পর ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশন এর পর প্লেন যেই গেট থেকে ছাড়বে ওই গেটে যেতে হয়।যাওয়ার পথে চেকিং আছে।জুতা সহ বেল্ট সব কিছু ই খুলে ফেলতে হয়।       চিত্র:  ঢাকা এয়ারপোর্টে প্লেন বোর্ডিং এর আগে। সবকিছু ঠিকভাবে হওয়ার পর প্লেন এ উঠে বসলাম।প্রথম জার্নি ছিলো ঢাকা টু দোহা।দোহায় প্রথম transit.। সৌভাগ্যক্রমে জীবনের প্রথম ফ্লাই এ একটা উইন্ডো সিট পেয়ে গেলাম।ঢাক...

প্রথম আমেরিকা ভ্রমনের গল্প : প্রস্তুতি পর্ব

প্রস্ততি পর্ব এরকম যে একটা সুযোগ যে হবে এ কথা কে আর ভেবেছিলো? এ যেন স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে যাওয়া এক অলৌকিক মূহুর্ত। সেই অসাধারণ সব মূহুর্তের গল্প নিয়ে লিখবো প্রথম আমেরিকায় পা দেয়ার গল্প। আমেরিকায় পা দেয়ার স্বপ্নের বুনন চলছিলো দীর্ঘদিন ধরেই।অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবের কাছাকাছি আসলো। ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারীর ৯ তারিখে গিয়েছিলাম University of Nebraska Lincoln এ PhD recruitment event এ যোগ দিতে। PhD প্রোগ্রামের নাম ছিলো Complex Biosystems। প্রোগ্রামের এপ্লিকেশন ডেডলাইন ছিলো ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩।  এপ্লিকেশন সাবমিট করেছি বেশ কয়েকদিন আগেই। ২৩ ডিসেম্বর ইন্টারভিউ মেইল দিলো UNL থেকে।ক্রিসমাসের ছুটি পড়ে যাওয়ায় ইন্টারভিউ নিলো ৪ জানুয়ারি। খুবই Impressive একটা ইন্টারভিউ দিয়েছি।আমার কাছে মনে ইন্টারভিউ PhD application  এর খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।ভালো ইন্টারভিউ দিলে চান্স অনেকটাই বেড়ে যায়।অনেক competitive জায়গায় interview দিয়েও অনেকে বাদ পরে যায়। যাই হোক, জানুয়ারীর ১০ তারিখে জানালো আমি in person recruitment event এর জন্য আমন্ত্রিত হয়েছি। সেদিন থেকেই আমার উৎসাহের আর কমতি নেই। কিন্তু তখনও ...