Skip to main content

স্টিভেন প্রুইট : উইজার্ড অফ উইকিপিডিয়া


ছবি :স্টিভেন প্রুইট

Steven Pruitt
স্টিভেন প্রুইট (Steven Pruitt) এক অদ্ভুত মানুষ।সম্ভবত, এই গ্রহের অন্যতম সেরা  উদার মনের  মানুষ। তার কারবার হচ্ছে বিনামূল্যে সবার কাছে ইনফরমেশন ছড়িয়ে দেয়া। এই কাজটি তিনি করে থাকেন Wikipedia এর মাধ্যমে। 

ইন্টারনেট জগতে সর্বাধিক ভিজিট করা পেজের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উইকিপিডিয়া। উইকিপিডিয়া হচ্ছে ইন্টারনেট বেসড এনসাক্লোপিডিয়া। এর যাত্রা শুরু হয় ২০০১ সালে। আর এই উইকিপিডিয়ারই একজন সুপারহিরো হচ্ছেন এই স্টিভেন প্রুইট। তিনি প্রায় ৩ মিলিয়ন আর্টিকেল ইডিট করেছেন এবং ৩৫ হাজার আর্টিকেল তৈরি করছেন। ইংরেজি ভাষায় লেখা এক-তৃতীয়াংশ আর্টিকেল ই তার লেখা।উইকিপিডিয়ায় "Women in Red" নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি মহিলাদের বায়োগ্রাফি প্রকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ইন্টারনেট জগতের ২৫ জন প্রভাবশালীর তালিকায় তার নাম ২০১৭ সালের টাইম ম্যাগাজিন এ প্রকাশ পেয়েছে।

টেক্সাসের স্যান অন্টানিও তে বসবাসরত এই ব্যাক্তি  "San Amantio di Nicalao" নামেই লিখে থাকেন।আমেরিকার উইলিয়াম এন্ড মেরি কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, তিনি এই পুরো কাজটি করেন বিনামূল্যে। এ ব্যাপার এ তার মতামত হচ্ছে, তথ্যের অবাধ এক্সেস কতটা গুরুত্বপূর্ণ  সেটা কেবলমাত্র সঠিক তথ্য পাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিতরাই বুঝবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন এ বড় হওয়া মায়ের কাছ থেকেই এই ধারনা পেয়েছেন। তিনি আরো বিশ্বাস করেন এসব তথ্য সবার কাছে পৌছে দেয়ার মাধ্যমে একটি সুন্দর ও  শক্তিশালী সমাজ গঠিত হবে।

তিনি গত ১৬ বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে ৩ ঘন্টা সময় ব্যয় করেন উইকিপিডিয়ার পিছনে। মানবজাতির জন্য নিজের এতবড় বিসর্জন দিয়ে সবার কাছে বিনামূল্যে জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার যাত্রাটা সত্যিই অবাক করা ব্যাপার বটে।

Comments

Popular posts from this blog

দীর্ঘশ্বাস -নদীর ধারে।

আমাদের ভেতরে জেগে থাকে একটা দীর্ঘশ্বাস  হৃদয় ঘুমায়ে যায়,জেগে থাকে আমাদের মন কত দিন পরে, কোনো এক শান্ত শীত ভোরে দূর থেকে ভেসে আসে খেজুর পাতার ঘ্রাণ  রংয়ের আকাশে ভেসে মেঘ একটুকু বয়ে নেওয়া রঙিন আবেগ। আমরা ভাবতে থাকি টিনের চালের নিচে শুয়ে কত বাস ট্রাম চলে,আর কত দূর দৌড়ালে  আমাদের কাছে এসে সময় ক্ষমা চেয়ে নেবে আর কত গল্প বলে,কত সব কবিতা লেখা হলে মানুষ ভেবে নেবে সফল জীবন কত দিন, কত সন্ধ্যা পাখির ডাকের থেকে আকাশ দেখে,নিরবে নদীর পারে নদীর ঢেউয়ের সাথে কত কথা বলা হলে পরে আমাদের বন্ধু হবে,আমরা হবো বন্ধু নদী কিংবা ঘাসের  কত দিন কথা হয় ওই নীল পাখিদের সাথে।

চতুরঙ্গ : একটি চৌমুখী পর্যালোচনা!

চতুরঙ্গ উপন্যাসের মূল চরিত্র চারটি। চারটি বিশেষ কাহিনী একত্রিত করেই, একই সুতোর টানে আবর্তিত হয়েছে শ্রীবিলাসের জবানীতে। তারপরও শচীশ না শ্রীবিলাস কাকে প্রধান চরিত্র বলবো তা নিয়ে দ্বন্ধ থেকেই যায়।  জ্যাঠামশাই জগমোহন এর নাস্তিকতার আড়ালে নির্লোভ জন সেবা করা মানবধর্মের সুন্দর পরিচয় বহন করে। জগমোহন থেকে সে মহান গুন পরিচালিত হয়েছে শ্রীবিলাসের দিকে। তৎকালীন সমাজ ব্যাবস্থায় স্রোতের বিপরীতে চলা এরকম চরিত্র সৃষ্টি করা কখনোই সহজ কাজ ছিলো না।নারীজীবননের নানা দ্বন্দ্ব সংঘাত সুচারুরূপে উঠে এসেছে দামিনীর মধ্যে। দামিনীর ভালোবাসা শচীশ আর শ্রীবিলাসের জীবনে নিয়ে এসেছে শীতলতা।যদিও ভালোবাসার স্রোত সর্বদাই শচীশের দিকেই প্রবাহিত হয়েছে। এমনকি শ্রীবিলাসের সাথে বিবাহের পরও সে শচীশের প্রতি নিবেদিতপ্রান। শচীশের জীবিকার চিন্তাও সেই করেছে।কিন্তু মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্তে শেষ আকুতিটুকু শ্রীবিলাসের  প্রতিই ছিলো "সাধ মিটিল না, জন্মান্তরে আবার যেন তোমাকে পাই "। দামিনী শক্তভাবে অবহেলা করে গেছে লীলানন্দস্বামীর ধর্ম, কর্ম, প্রেম আর আধ্যাত্মিকতা।  চারটি চরিত্রকে আলাদাভাবে বর্ননা করেও, তাদের স্বকীয়তা ধরে রেখেছেন সমানভা

জাহাজের পটভূমিতে

সকালের কোলাহল শুরু হতে, শুরুর সূর্যের আলো যেইমাত্র জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তখন আর কে এলিয়ে থাকে গা বিছানার পরে? অতএব, চমৎকার একটা দিনের শুরু শুরু আরো কিছুকাল উদ্দেশ্যেহীন বেচে থাকা কি করে কাটবে এই নিরাশ সময়,সব এলোমেলো ভেবে। ঘর থেকে বের হয়ে একটি পাখিকে ডেকে যেতে দেখি শুধু গাছের আড়ালে তারপর দিন বেড়ে যায়,মানুষের সব  ক্ষুধা গ্রাস করে মৃত অন্ধকার  দুপুরের নিরবতা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন সাগরতীরে ভিড়ে যায় পুরোনো জাহাজ নাবিকেরা নেমে পরে বন্দরের কাছে তাদের ও আছে প্রয়োজন আরো কিছুকাল বেচে উপভোগ করা এই সময়ের স্মৃতি  কত দিন কত রাত পরে,ভিড়ে তারা বন্দরের কাছে। বিকেলের আলোতে বসে চায়ের দোকানে সব কথা ভেবে যায় একটি যুবকে সব অন্ধকার কখন নামবে এই পৃথিবীর বুকে, কখন ফিরবে সব পাখিরা নীড়ে,  কখন উঠবে সব তারাদের দল, অন্ধকার ফুড়ে সব শান্ত চারিদিকে, সব কোলাহল শেষে কখন ফিরবে সব ক্লান্ত দেহ বিছানার পরে।