যখন আমি অলিম্পিক বুঝতে শিখেছি, তখন ক্লাস ৫ এ পড়ি।২০০৮ এর বেইজিং অলিম্পিক। এক আজপাড়াগায়ের প্রাইমারি পড়ুয়া ছোট্ট ছেলে আমি। ঘরে ছিলাম সাদাকালো ন্যাশনাল ব্লাক এন্ড হোয়াইট টিভি।সেই প্রথম অলিম্পিক এর সাথে পরিচয়।এত এত ডিফারেন্ট খেলার সাথে পরিচয়।চোখ ধাধানো সব অ্যাথলেটিকস, আর নানাবিধ শারীরিক কসরত।সেই প্রথম সব অসাধারণ মানুষ দেখা।এরপর ১২ বছরে আরও ৩ টা অলিম্পিক হইসে। শেষবারের টা মাত্র দেখে শেষ করলাম।টোকিও অলিম্পিক ২০২০.করোনার জন্য অলিম্পিক পিছায়ে ২০২১ এ আসছে।পরবর্তী অলিম্পিক ২০২৪ এ প্যারিস।
অলিম্পিক এ পৃথিবীর প্রায় সব দেশ থেকে হাজার হাজার অ্যাথলেট পার্টিসিপেট করে।আমার দেশ, বাংলাদেশর সেরকম কোনো অর্জন হয়ত নেই অলিম্পিক এ।তবুও দেখতে ভাল্লাগে।কত ডিসিপ্লিনের খেলা।কত আয়োজন।মানবজাতি কত অদ্ভুত, কত ফ্লেক্সিবল তাদের দেহ।টোকিও অলিম্পিক এ ইউএসএর সোনার ছড়াছড়ি।এরপর আছে চায়না।আসলে সত্যিকার অর্থে অলিম্পিক এর পদকের সাথে বিশ্বরাজনীতির একটা সূক্ষ্ম সম্পর্ক আছে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোল্ডওয়ারের সময়গুলোতে রাশিয়া আর আমেরিকার মধ্যে চলত মেডেলের লড়াই।ধীরে ধীরে সে জায়গা চায়না দখল করছে।১৯৯০ এর পর থেকে ই চায়নার এই উল্থান শুরু।এবারের টোকিও অলিম্পিক এ চায়না আছে পজিশান ২ এ।এছাড়া মোটামুটি রাজনীতির মোড়লরাই অলিম্পিক এর পদক ঘরে তুলে।সবকিছুর পরেও অলিম্পিক আসলে যোগ্যতার পরিচয়,যোগ্যরাই ঘরে তোলে সুবর্ন ফসল।অনেক আনন্দ, আবেগ, আর আয়োজনে শেষ হল টোকিও অলিম্পিক।
Goodbye Tokyo, Hello Paris.
Comments
Post a Comment